মিরাকফ সিরাপ এর কাজ কি
মিরাকফ শুষ্ক কফ বা কাশি ক্ষেত্রে ব্যবহিত একটি সিরাপ। স্কয়ার কোম্পানির এই সিরাপ টি বাচ্চা থেকে বড় সকল বয়ষের শুষ্ক কফ বা কাশি ক্ষেত্রে ডাক্তাররা সাজেস্ট করে থাকেন। ভাইরাস ইনফেকশনের জন্য শুষ্ক কফ হতে পারে। যেকোন কারণে সৃষ্ট তাৎক্ষণিক কফ বা শল্য চিকিৎসার আগে ও পরে কফ নিরোধে মিরাকফ সেবন করতে হয়।
মিরাকফ সিরাপ এর কার্যকারিতার সময় সিমা
কফ দমনে ক্ষেত্র মিরাকফ সিরাপের মূল উপাদান ”বিউটামিরেট সাইট্রে“ মস্তিষ্কের কফ সেন্টারে সরাসরি কাজ করে। বিউটামিরেট সাইট্রেট নিরাপদ এবং নন-সিডেটিভ। এটি রাসায়নিকভাবে অপিয়াম অ্যালকালয়েডের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। যা মুখে খাওয়ার পর খুব দ্রুত এবং সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয়। সাসটেইনড্ রিলিজ ট্যাবলেট এর ক্ষেত্রে ইহা সেবনের ৯ ঘন্টার মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়। এটির প্রোটিন বন্ধন ক্ষমতা বেশী ও প্লাজমা নিঃসরণ হাফ-লাইফ ১৩ ঘন্টা।
মিরাকফ সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে
- বিউটামিরেট সাইট্রেট ৫০ মিগ্রা ট্যাবলেট দিনে ২-৩ বার।
- বিউটামিরেট সাইট্রেট সিরাপ: ১৫ মিলি করে দিনে ৪ বার।
শিশু ও কিশোর-কিশোরীর ক্ষেত্রে ব্যবহার
- ১২ বছরের বেশী বাড়ন্তদের জন্য দিনে ২-৩ বার।।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
- শিশু (৩-৬ বছর বয়স): ৫ মিলি করে দিনে ৩ বার।
- শিশু (৬-১২ বছর বয়স): ১০ মিলি করে দিনে ৩ বার।
- বয়ঃসন্ধিকালে: ১৫ মিলি করে দিনে ৩ বার।
বিউটামিরেট সাইট্রেট পেডিয়াট্রিক ড্রপস
- শিশু (২মাস-১ বছর বয়স): ০.৫ মি. লি. করে দিনে ৪ বার।
- শিশু (১-৩ বছর বয়স): ০.৭৫ মি. লি. করে দিনে ৪ বার। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবনযোগ্য।
মিরাকফ সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মিরাকফ খুবই সহনীয় একটি সিরাপ। এটিতে তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে কখনও কখনও ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব এমন কিছু রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সেবনের মাত্রা কমালে বা ওষুধ সেবন বন্ধ করলে এ সকল প্রতিক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি দূরী হয়ে যায়।