দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা
দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা : জ্বর, সর্দি, কাশির মতো অতি পরিচিত একটি রোগ হচ্ছে দাদ বা দাউদ। এটি একটি ছত্রাক জনিত রোগ যা ছত্রাকের আক্রমনের ফলে হয়ে থাকে। বিশেষ করে এটি শরীর ও মাথার ত্বকে দেখা যায়। এটি দেখতে বৃত্তাকার, লাল যাকে চুলকানি ফুসকুড়ির মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়। দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে এই দাদ নিরাময় করা যায়। এটি আমরা প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়াভাবে শুরু করতে পারি।
এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো কিভাবে আমারা দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা শুরু করতে পারি এবং তা করার জন্য আমাদের কি কি প্রয়োজন। তো চলুন শুরু করা যাক।
দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা
দাউদের আক্রমন হলে আমরা প্রাথমিকভাবে যে চিকিৎসা গুলো নিজে নিজে নিতে পারি তাকেই দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা বলা হয়। নিম্নে দাউদের কিছু কার্যকর ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়া হল:
নারকেল তেল : নারকেল তেলে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড যা দাউদ নিরাময়ে বিশেষভাবে কার্যকর। এই ফ্যাটি অ্যাসিড ছত্রাকের কোষগুলির ঝিল্লির ক্ষতি করে। যার ফলে ফাঙ্গাস গুলো মারা যায়। নারকেল তেলে দাউদের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ উভয় গুনাগুন থাকে। ভালো ফলাফল পেতে দাউদ আক্রান্ত স্থানটি পরিস্কার করে আক্রান্ত স্থানে দিনে তিনবার খাঁটি নারিকেল তেল লাগান। আর যদি ত্বক বা চুলের যত্নে আপনি রুটিনের অংশ হিসাবে নারকেল তেল ব্যবহার করে থাকেন তবে ভবিষ্যতে ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ এন্টিবডি আপনার শরীরে তৈরি হবে। যা আপনাকে এ জাতীয় রোগের আক্রমন থেকে রক্ষা করবে।
আপেল সিডার ভিনেগার : যেহেতু দাউদ ছত্রাক বা ফাঙ্গাস জনিত একটি রোগ তাই আপেল সিডার ভিনেগার হতে পারে দাউদ নিরাময়ের প্রথম উপকরণ। কেননা আপেল সিডার ভিনেগারে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। একটি তুলোর প্যাড বা ডিব্বাকে অপরিশোধিত আপেল সিডার ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখুন এবং আক্রান্ত স্থানটি সেই তুলো দিয়ে মুছুন অনেকটা ড্রেসিং করার মতো করে। দিনে তিনবার এই কাজ করলে দাউদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা জেল : অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপাদান। যা দাউদের চিকিৎসায় বিশেষভাবে কার্যকর। অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে কার্যকর অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। দাউদ আক্রান্ত স্থানটি পরিস্কার করে আক্রান্ত স্থানে দিনে তিনবার অ্যালোভেরার জেল লাগানো গেলে এর থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এছাড়াও অ্যালোভেরার শীতল বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি চুলকানি ও ফোলা থেকে উপশম করতে সাহায্য করে।
হলুদ : দাউদের ঔষধসহ অনেক কাজে হলুদ অনেক আগে থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদে কারকিউমিন নামক যৌগ রয়েছে। কারকিউমিনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে । হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ক্ষমতা দাউদ থেকে আমাদের উপশম করতে সহায়তা করে। দাউদের থেকে রক্ষা পেতে হলুদকে দুইভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
খাওয়ার মাধ্যমে উপকার পেতে চা বা দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বাহ্যিক প্রয়োগ হিসাবে ব্যবহার করতে, পানি বা তেলের সাথে এক টেবিল চামচ হলুদ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে পেস্টটি লাগান। এটি সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে যাওয়ার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং জায়গাটি শুকিয়ে নিন।
এবস ব্যবহারের পরেও কোনো প্রতিকার না পেলে ভালো একজন চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন। যে কোনো মেডিসেন গ্রহনের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ধন্যবাদ