ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা: সুস্থ্য থাকার জন্য যে সকল ভিটামিন প্রয়োজন আমাদের শরীর সব গুলোই মূলত খাবার থেকে গ্রহন করে থাকে। অনেক সময় আমাদের খাবারে সব ধরনের ভিটামিন থাকে না। বিশেষ করে যদি খাবোরে ভিটামিন এ না থাকে তখন এর অভাবে আমাদের শরীরে আনেক সমস্যা দেখা দেয়।
যেমন-রাতকানা, জেরোফথ্যালমিয়া, চুল, ত্বক, এবং নখের নানা ধরনের পরিবর্তনের সমস্যা। এমন সময় ডাক্তাররা ভিবটামিন এ ক্যাপসুল সাজেস্ট করে থাকেন।
আমাদের দেশে সরকারী ভাবে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে একটি করে লাল ক্যাপসুল এবং ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। যাতে করে শিশুরা ভিটামিন এ এর সমস্যায় না ভোগে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা সমূহ
- ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুর রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
- এটি শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- অন্ধত্বের চারটি প্রধান কারণের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত কারনে কর্ণিয়ার রোগ ও কর্ণিয়ার ক্ষত অন্যতম। ভিটামিন এ এর অভাবে শিশু রাতকানা হয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ করে ভিটামিন এ। এটি দেহ বৃদ্ধি, বিশেষ করে দেহের অস্থি কাঠামোর বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সঙ্গি এর সংযোগ রয়েছে।
- ভিটামিন এ জীবাণু সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে থাকে।
- ভিটামিন এ ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে থাকে।
- ভিটামিন এ হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক।
- এটি পুরুষ ও মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম
শিশুদের অবশ্যই ভরা পেটে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। ভিটামিন ‘এ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ বাচ্চাদের মুখে চিপে খাওয়াতে হয়। তাই এটি জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় খাওয়ানো ঠিক নয়। এতে করে ক্যাপসুলের ভিতরে থাকা তরল লালার সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।